Post Press release from Karmojibi Nari on the occasion of IWD 2024

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ৮ মার্চ ২০২৪ | PDF 

নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
-শিরীন আখতার

‘কর্মজীবী নারী’ ও নারীশ্রমিক কন্ঠে’র যৌথ আয়োজনে আজ ০৮ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার সকাল ১০.০০-১১.৩০টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “নারীর প্রতি সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর কর, নারীশ্রমিকদেরকে কর্মে যুক্ত থাকার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত কর” এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে ‘বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও নারীশ্রমিক জমায়েত’ এর আয়োজন করে।

কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সমন্বয়ক, নারীশ্রমিক কন্ঠ ও সাবেক এমপি শিরীন আখতার এর সভাপতিত্বে উক্ত আয়োজনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় গার্হস্থ্য নারীশ্রমিক ইউনিয়ন এর উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, বিল্স এর ডিরেক্টর কোহিনুর মাহমুদ, কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল, জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও নারীশ্রমিকগণ। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আমেনা।

পোশাক শ্রমিক মাহফুজা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, নারীশ্রমিকেরা দয়ার পাত্র নয়। আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ভালো চাই। নারী-পুরুষ সবাই কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

নইমুল আহসান জুয়েল বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও নারীদের কোন সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নেই। নারীদের সম অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করছি। এজন্য নারীদেরও জেগে উঠতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে হবে, স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীরাই এদেশের অর্থনীতির চাকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নারীর অধিকার আদায়ে আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এবং ১৯০ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

কোহিনুর মাহমুদ নারীদের সামাজিক সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুরক্ষার বিষয়গুলো জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান। এছাড়া ঘরে-বাইরে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি অশালীন আচরণ বন্ধ করতে সরকারীভাবে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

আবুল হোসাইন বলেন, নারীর অধিকার মানবাধিকার। এই অধিকারের জন্য নারী-পুরুষ সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে।

শ্রমিক নেত্রী কামরুন নাহার বলেন, প্রতিদিনই নারীর প্রতি মর্যাদা ও সম্মান চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীর অবদান অনস্বীকার্য। তাই নারীর শ্রমের মর্যাদা দিতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে শিরীন আখতার বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর যে লড়াই সেটা চালিয়ে যেতে হবে। নারীদেরকে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি অর্জন করতে হবে। শক্ত হাতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সারা পৃথিবীতে পুরুষের পাশাপশি নারীকে এগিয়ে নিতে নারীর প্রতি বিনিয়োগ করতে হবে, সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। নারীকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ করতে হবে ও উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিতে হব্।ে

এই কর্মসূচী থেকে কর্মজীবী নারী’র দাবীসমূহ:

১. নারী-পুরুষ সমকাজে সমমজুরি, নিয়োগপত্র, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাসহ নারীশ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় শ্রম আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে
২. গৃহশ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি প্রণোদনা, রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
৩. সকল শ্রমিকের জন্য একটি জাতীয় মজুরি নির্ধারণ করতে হবে
৪. শ্রমজীবী-কর্মজীবী নারী সকলের জন্য স্ববেতনে ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে
৫. নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত ও নিরাপদ পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে
৬. নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে হবে
৭. কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে, আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে
৮. যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করতে হবে।
৯. নারীর অগ্রযাত্র অব্যাহত রাখতে সকল ক্ষেত্রে নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বার্তা প্রেরক

হাছিনা আক্তার
সমন্বয়ক, এইচ.আর এন্ড এডমিন, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: ০১৭১২৪৭৯৫০১

Post Press Release about International Labour Day 2023 and Celebration of 33th Anniversary of Karmojibi Nari

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০১ মে, ২০২৩

কর্মজীবী নারী’র মহান মে দিবস-২০২৩ ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন | PDF

সকল শ্রমিকের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা কর

আজ ১ মে, ২০২৩ সকাল নয়টায় কর্মজীবী নারী মহান মে দিবস-২০২৩ ও ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সকল ক্ষেত্রে অধিকার মর্যাদায় নারী থাকবে পৃথিবীর বৃহৎ আঙিনায় এবং সকল শ্রমিকের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা কর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জিরো পয়েন্ট, পল্টন, ঢাকা-১০০০-এ সমাবেশের আয়োজন করেছে। কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, এমপি এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, কর্মজীবী নারী’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা এবং নারীশ্রমিক কন্ঠ থেকে সংহতি বক্তব্য রাখেন: নারীশ্রমিক নেত্রী মুর্শিদা আখতার নাহার, মাকসুদা খাতুন, হেনা চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তব্যে কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, এমপি বলেন, নারী ও নারীশ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কর্মজীবী নারী পথ চলা শুরু করেছিল আজ থেকে ৩৩ বছর আগে। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয়। তাই আমরা আবারও বলছি কাজ চাই, তবে তা মর্যাদার সাথে। মর্যাদার পাশাপাশি বেঁচে থাকার জন্য মজুরিও গুরুত্বপূর্ণ। সকল শ্রমিকের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। নারীশ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা, ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশ এবং যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্র অনেক নীতিমালা করেছে। সেই নীতিমালার আলোকে আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।

সমাবেশে বলা হয়, এ বছর কর্মজীবী নারীর গৌরবজ্জ্বল ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক খাতের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতিতে নারীর অবদান সর্বাধিক বিশেষ করে কৃষি, শ্রম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নারীর অবদান উল্লেখযোগ্য। ‘কর্মজীবী নারী’ নারী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনে নারীশ্রমিকের ব্যাপকতর উপস্থিতি, কার্যকর অংশগ্রহণ ও তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরন্তর সংগ্রামে এগিয়ে চলছে সাফল্যের সাথে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নে এবং তৈরি পোশাক খাত, চামড়া শিল্পখাতসহ কৃষিশ্রমিক, অভিবাসীশ্রমিক, পরিচ্ছন্নশ্রমিক, গৃহশ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ‘কর্মজীবী নারী’ ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মহান মে দিবস ২০২৩ এবং কর্মজীবী নারী’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমজীবী-খেটে খাওয়া-মেহনতি শ্রমিকদের জন্য কর্মজীবী নারী’র দাবি:

১. শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;
২. শ্রমিক ছাঁটাই, কল-কারখানা বন্ধ করা চলবে না;
৩. অতি জরুরি কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিকের জন্য কার্যকর পিপিই-এর ব্যবস্থা করতে হবে;
৪. সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে;
৫. শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;
৬. আইএলও কনভেনশন ১৯০ এর বাস্তবায়ন করতে হবে। শোভন কাজ নিশ্চিত করতে হবে;
৭. গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা-২০১৫ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর আলোকে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৮. ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বার্তা প্রেরক

জারিন তাসনিম
প্রকল্প সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
০১৯১৪৩৫৭১২০

প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতার-আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩

প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতার-আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৯/০৩/২০২৩
x
প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব,

নিরাপদ ও সমতার

-কর্মজীবী নারী

কর্মজীবী নারী’র “কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শহুরে নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ এবং তাদের অরক্ষিত অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়ায় যুক্তকরণ” প্রকল্পের অধীনে আজ ০৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪.০০ টায় ক্রিশ্চিয়ান এইড এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডস্থ ভাষানটেক এলাকায় মানববন্ধন, লাঠি খেলা ও পথ নাটকের আয়োজন করে।

কর্মজীবী নারী’র প্রকল্প সমন্বয়ক জারিন তাসনিমের সভাপতিত্বে¡ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুজহাত জাবিন, কর্মজীবী নারী’র প্রকল্প কর্মকর্তা হুরমত আলী, জাতীয় শ্রমিক জোট- বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ, গৃহশ্রমিক প্রিয়া প্রমুখ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক রিনা আমেনা।

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতার” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কর্মজীবী নারী’র আজকের এই আয়োজন। আজ থেকে ১৬৫ বছর আগে আমেরিকার সূঁচ কারখানার নারীশ্রমিকেরা ১২ ঘন্টার কাজের বিরুদ্ধে, নি¤œ মজুরি এবং অমানবিক কাজের পরিবেশের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু করে তারই ধারবাহিকতায় নারীশ্রমিকের সংগ্রাম স্বীকৃতি পায় ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। নারীর এই আন্দোলনের মূল্যায়ন যদি করি তাতে দেখা যায় নারী নিজেকে চিনতে শুরু করেছে এ কথা ঠিক, নারীর সচেতনতা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু নারী তাঁর বৈষম্য, বঞ্চনা এখনও ঘুচাতে পারেনি।

ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুজহাত জাবিন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এখনও আরো অনেক কাজ করার বাকি আছে। আর সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নারীর অধিকার বিষয়ে আপনারা নিজেরা জানবেন এবং অন্যদের জানাতে সাহায্য করবেন।

বক্তারা কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক সুরক্ষায় তাদের প্রবেশাধিকারের জোর দাবি জানান।

এই কর্মসূচি থেকে কর্মজীবী নারী’র দাবিসমূহ:

১. ডিজিটাল বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ হতে হবে শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতাপূর্ণ;
২. কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে;
৩. সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়ায় নারীর যুক্ততা নিশ্চিত করতে হবে;
৪. নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত ও নিরাপদ, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে;
৫. নারী-পুরুষ সমান কাজে সমান মজুরি নিশ্চিত করতে হবে;
৬. নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে হবে;
৭. বৈষম্যহীনভাবে সকলক্ষেত্রে নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত ও নারীবান্ধব, কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে;
৮. কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে, আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে;
৯. গৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে;
১০. গৃহশ্রমিকের অধিকার রক্ষায় গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়ন করতে হবে;

বার্তা প্রেরক,

আমেনা,
প্রকল্প সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: (০১৭২৬৫৪৩২৯৩)

বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাও | তেল-গ্যাস, বিদ্যুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও মিছিল

বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাও | তেল-গ্যাস, বিদ্যুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও মিছিল

তেলগ্যাস, বিদ্যুসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মজীবী নারী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার বিকালে মিরপুর-১ নাম্বার গোল চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে

কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন: কর্মজীবী নারী’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা, সমন্বয়ক হাছিনা আক্তার, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাজীব আহমেদ, ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ, শ্রমিক নেত্রী নারগিস আক্তার প্রমুখ 

বক্তারা বলেন, দফায়দফায় গ্যাস, বিদ্যু, পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ পরিবহন ব্যয়, বাসাভাড়া, শিক্ষার খরচসহ নিত্যপণ্যের সবকিছুর দাম বেড়েছে দুই বছর মেয়াদি মহামারিকাল পার হতে গিয়ে দেশের মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে এত বড় মহামারি সংকট কাটিয়ে উঠতে মানুষ যখন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন সরকার তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে মানুষের ওপর আরও বেশি দ্রব্যমূল্যের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে যা আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না।

বক্তারা বলেন, গত ২ বছরে ভোজ্যতেলের দাম ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রব্যমূল্যর এই ঊর্ধ্বগতি জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে সরকার লোকসানের দোহাই দিয়ে সব সময় জনগণের পকেট কাটছে একদল অস মানুষ দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা চালু করতে হবে

সরকারের দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের জন্য এমন বাজার সিন্ডিকেট বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সংসদে জাতীয় বাজেট পেশকালে জ্বালানি তেল ও সারের দাম পর্যায়ক্রমে ও স্বল্প আকারে বাড়িয়ে সমন্বয় করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। জ্বালানি তেলের সঙ্গে সরাসরি পরিবহন খরচ যুক্ত। তেলের দাম আরো বাড়লে এর প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়বে। প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি তেলে ভর্তুকিতে কোনো অর্থ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়নি। অপরদিকে বিদ্যুপাদনে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার বছরে হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েই চলছে যা জনগণের পকেট কাটার সামিল

বক্তারা আরও বলেন, যথাযথ বাজার মনিটরিং হচ্ছে না। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক নয়, সর্বস্তরের ভ্যাট কমিয়ে জনগণের বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। তেল-গ্যাস-বিদ্যু ও পণ্যের দাম জনগণের আয়ত্তের মধ্যে রাখার জোর আহ্বান জানান বক্তারা।

বার্তা প্রেরক
রাজীব আহমেদ
সমন্বয়ক (প্রোগ্রাম), কর্মজীবী নারী
০১৭৫০৩৭৭৯৩৯

 

News Link:

 

“সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরী বোর্ড গঠনের করতে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে”

-শিরীন আখতার এমপি 

আজ ১৬ ফেব্রয়ারি, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০.৩০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডেইলি স্টারের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে (ডেইলি স্টার ভবন, ফার্মগেট, ঢাকা) সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প শ্রমিকদের উপর করা গবেষণালব্দ ফলাফল নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য শিরীন আখতার এমপি, ফেনী-১ আসন এবং সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, লিয়াকত আলী মোল্লা, চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা জজ ) নিম্নতম মজুরী  বোর্ড, মোছা: হাজেরা খাতুন, যুগ্ম সচিব, বাজেট অধিশাখা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়, রোখসানা চৌধুরী, উপপরিচালক (উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান শাখা) প্রধান কার্যালয়, শ্রমঅধিদপ্তর, নুজহাত জাবিন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইকোনমিক জাসটিস) ক্রিশ্চিয়ান এইড। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি, রাজেকুজ্জামান রতন, এনসিসিডব্লিউই এর সদস্য সচিব নইমুল আহসান জুয়েল। বক্তব্য রাখেন, প্রক্ষাত স্কপ নেতা সৈয়দ শাহ্ মোঃ আবু জাফর, শাকিল আকতার, সাইফুজ্জামান বাদশা, আব্দুল ওহায়েদ, কামরুল আহসান, হামিদা খাতুন, শামিম আরা, নাহিদুল ইসলাম নয়ন, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডঃ জাকির হোসেন, অধ্যাপক, ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নারী শ্রমিকের সমস্যা আর নারীর সমস্যা দুটো আলাদা ব্যাপার। এখানে নারীরাও যেমন নির্যাতিত হয় তেমনি নারী শ্রমিকরাও কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের নির্যাতনেত স্বীকার হয়। সামুদ্রিক খাদ্য শিল্প শ্রমিকরা জানেনা তাদের জন্য আরো কত সুন্দর পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরো বলেন; এই শ্রমিদের জন্য একটা উন্মক্ত প্লাটফর্ম দরকার, যেখানে তারা দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারবেন। আজ আলোচনায় চিংড়ি শিল্পের উপর ফোকাস হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি ২০ বছর পরে অনেক পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছর পরের কথাও বলে গেছেন। আমরা সমুদ্রসীমা জয় করেছি, ফলে আমাদের সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। তাই এই খাতের শিল্প অনেক প্রসারিত হবে। এখানে যারা কাজ করেন তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। পুরো মৎস প্রক্রিয়াকরণজাতের উপর আমাদেরকে ফোকাস করতে হবে। ন্যূনতম মজুরির উপর লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০,০০০ টাকা করার দাবি বহুদিন থেকে উত্থাপিত হচ্ছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন; সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এর মধ্যে চিংড়িকে আমরা মজুরি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এই বোর্ড মালিক ও শ্রমিকের দাবিনামা নিয়ে আলোচনা ও বার্গেনিং করে। যে হারে বাজার মূল্য বেড়েছে সে হারে মানুষের আয় কমেছে। শ্রমিকের অবস্থা খুব খারাপ এটা বুঝতে পারছি। এরপর মজুরী ইস্যুতে কথা উঠলে আমরা এই বিষয়গুলো তুলে ধরবো। মজুরি বোর্ড সবসময় শ্রমিকের পক্ষেই কাজ করবে। 

মোছা: হাজেরা খাতুন বলেন; এখানে কারো দোষ নেই, তবে যে যেখানে খারাপ অবস্থায় আছে তাকে সেখান থেকে তুলে আনতে হবে। ন্যূনতম মজুরি ডিক্লিয়ার করলে কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। নারীরা পাচ্ছে ৫০০ টাকা এবং পুরুষরা পাচ্ছে ৭০০ টাকা। এই বৈষম্য না করে নারীকে দিয়ে অন্য কাজ করান যেখানে তাদের কষ্ট কম হবে। শ্রম আইনে বলা হয়েছে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহানুভূতি দেখাতে হবে। সংগঠন করতে হবে এবং সংগঠন করার জন্য মালিককে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রোখসানা চৌধুরী বলেন; সামুদ্রিক খাতের সাথে জড়িত নারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। যদি সম্ভব হয় এই শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করা, তাহলে ভালো হয়। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আমাদের ঠিক রাখতে হবে। শুধু কক্সবাজারে ছোট বড় শ্রমিক কাজ করে ১ লাখ ২০ হাজার।  যারা ইনফরমাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তারা যে কি পরিমান খারাপ আছে তাদের নিবন্ধন ও তালিকা করতে হবে এবং তাদের যদি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাহলে তাদের উন্নতি হবে। তাদের জন্য রেশনিং, বীমা ব্যবস্থা করতে হবে। দাদন ব্যবস্থা কমাতে হবে।

বক্তারা বলেন; মজুরি কোন দয়া নয়, মজুরি কোন ডাকাতিও নয়। কেউ কাউকে বিনা পয়সায় খেতে দেয় না। বার্গেনিং এর জায়গায় শ্রমিকরা হীনমন্যতায় আছে। ফলে মালিকরা প্রাথমিকভাবে শ্রমিকদেরকে নীচু দৃষ্টিতে দেখে। মালিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবে না এটাই স্বাভাবিক। তারা শ্রমিককে মর্যাদা দিতে চায় না, মজুরি দিতে চায় না। ফলে মর্যাদা পেতে হলে বার্গেইন করতে হবে। তারা আরো বলেন;  বাংলাদেশে বর্তমানে ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু আছে। প্রশ্ন হলো যে, ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু থাকলে ১০৫ টা কেন সরকারি নথিতে দেখা যায়। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে এই মালিকরা এই ফ্যাক্টরিকে দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে অন্য ব্যবসা করছে। ফলে শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছে।

বার্তা প্রেরক
হাসিনা আক্তার
সমন্বয়ক, এইচ.আর এন্ড এডমিন, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: ০১৭১২৪৭৯৫০১ | পিডিএফ 

“সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরী বোর্ড গঠনের করতে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে”

“সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরী বোর্ড গঠনের করতে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে”

-শিরীন আখতার এমপি

আজ ১৬ ফেব্রয়ারি, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০.৩০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডেইলি স্টারের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে (ডেইলি স্টার ভবন, ফার্মগেট, ঢাকা) সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প শ্রমিকদের উপর করা গবেষণালব্দ ফলাফল নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য শিরীন আখতার এমপি, ফেনী-১ আসন এবং সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, লিয়াকত আলী মোল্লা, চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা জজ ) নিম্নতম মজুরী  বোর্ড, মোছা: হাজেরা খাতুন, যুগ্ম সচিব, বাজেট অধিশাখা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়, রোখসানা চৌধুরী, উপপরিচালক (উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান শাখা) প্রধান কার্যালয়, শ্রমঅধিদপ্তর, নুজহাত জাবিন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইকোনমিক জাসটিস) ক্রিশ্চিয়ান এইড। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি, রাজেকুজ্জামান রতন, এনসিসিডব্লিউই এর সদস্য সচিব নইমুল আহসান জুয়েল। বক্তব্য রাখেন, প্রক্ষাত স্কপ নেতা সৈয়দ শাহ্ মোঃ আবু জাফর, শাকিল আকতার, সাইফুজ্জামান বাদশা, আব্দুল ওহায়েদ, কামরুল আহসান, হামিদা খাতুন, শামিম আরা, নাহিদুল ইসলাম নয়ন, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডঃ জাকির হোসেন, অধ্যাপক, ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নারী শ্রমিকের সমস্যা আর নারীর সমস্যা দুটো আলাদা ব্যাপার। এখানে নারীরাও যেমন নির্যাতিত হয় তেমনি নারী শ্রমিকরাও কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের নির্যাতনেত স্বীকার হয়। সামুদ্রিক খাদ্য শিল্প শ্রমিকরা জানেনা তাদের জন্য আরো কত সুন্দর পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরো বলেন; এই শ্রমিদের জন্য একটা উন্মক্ত প্লাটফর্ম দরকার, যেখানে তারা দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারবেন। আজ আলোচনায় চিংড়ি শিল্পের উপর ফোকাস হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি ২০ বছর পরে অনেক পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছর পরের কথাও বলে গেছেন। আমরা সমুদ্রসীমা জয় করেছি, ফলে আমাদের সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। তাই এই খাতের শিল্প অনেক প্রসারিত হবে। এখানে যারা কাজ করেন তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। পুরো মৎস প্রক্রিয়াকরণজাতের উপর আমাদেরকে ফোকাস করতে হবে। ন্যূনতম মজুরির উপর লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০,০০০ টাকা করার দাবি বহুদিন থেকে উত্থাপিত হচ্ছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন; সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এর মধ্যে চিংড়িকে আমরা মজুরি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এই বোর্ড মালিক ও শ্রমিকের দাবিনামা নিয়ে আলোচনা ও বার্গেনিং করে। যে হারে বাজার মূল্য বেড়েছে সে হারে মানুষের আয় কমেছে। শ্রমিকের অবস্থা খুব খারাপ এটা বুঝতে পারছি। এরপর মজুরী ইস্যুতে কথা উঠলে আমরা এই বিষয়গুলো তুলে ধরবো। মজুরি বোর্ড সবসময় শ্রমিকের পক্ষেই কাজ করবে। 

মোছা: হাজেরা খাতুন বলেন; এখানে কারো দোষ নেই, তবে যে যেখানে খারাপ অবস্থায় আছে তাকে সেখান থেকে তুলে আনতে হবে। ন্যূনতম মজুরি ডিক্লিয়ার করলে কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। নারীরা পাচ্ছে ৫০০ টাকা এবং পুরুষরা পাচ্ছে ৭০০ টাকা। এই বৈষম্য না করে নারীকে দিয়ে অন্য কাজ করান যেখানে তাদের কষ্ট কম হবে। শ্রম আইনে বলা হয়েছে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহানুভূতি দেখাতে হবে। সংগঠন করতে হবে এবং সংগঠন করার জন্য মালিককে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রোখসানা চৌধুরী বলেন; সামুদ্রিক খাতের সাথে জড়িত নারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। যদি সম্ভব হয় এই শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করা, তাহলে ভালো হয়। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আমাদের ঠিক রাখতে হবে। শুধু কক্সবাজারে ছোট বড় শ্রমিক কাজ করে ১ লাখ ২০ হাজার।  যারা ইনফরমাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তারা যে কি পরিমান খারাপ আছে তাদের নিবন্ধন ও তালিকা করতে হবে এবং তাদের যদি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাহলে তাদের উন্নতি হবে। তাদের জন্য রেশনিং, বীমা ব্যবস্থা করতে হবে। দাদন ব্যবস্থা কমাতে হবে।

বক্তারা বলেন; মজুরি কোন দয়া নয়, মজুরি কোন ডাকাতিও নয়। কেউ কাউকে বিনা পয়সায় খেতে দেয় না। বার্গেনিং এর জায়গায় শ্রমিকরা হীনমন্যতায় আছে। ফলে মালিকরা প্রাথমিকভাবে শ্রমিকদেরকে নীচু দৃষ্টিতে দেখে। মালিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবে না এটাই স্বাভাবিক। তারা শ্রমিককে মর্যাদা দিতে চায় না, মজুরি দিতে চায় না। ফলে মর্যাদা পেতে হলে বার্গেইন করতে হবে। তারা আরো বলেন;  বাংলাদেশে বর্তমানে ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু আছে। প্রশ্ন হলো যে, ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু থাকলে ১০৫ টা কেন সরকারি নথিতে দেখা যায়। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে এই মালিকরা এই ফ্যাক্টরিকে দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে অন্য ব্যবসা করছে। ফলে শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছে।

বার্তা প্রেরক
হাসিনা আক্তার
সমন্বয়ক, এইচ.আর এন্ড এডমিন, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: ০১৭১২৪৭৯৫০১

Newspaper Links:

  1. https://epaper.ajkerpatrika.com/indexs.php?pagedate=2023-02-17&edcode=1&pgnum=1
  2. https://www.tbsnews.net/bangladesh/realistic-minimum-wage-sea-food-processing-workers-demanded-586218
  3. https://www.protidinersangbad.com/national/382757
  4. https://epaper.ajkerpatrika.com/imageview/68911/1386609664.html?fbclid=IwAR1l-JRs1AWrfhkKnv_THOFwEbLF4Gt0zTmHIIG96MdOBBbYwzZLoyS94As
  5. https://priyobanglanews24.com/2023/02/17/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b6%e0%a7%8d/?fbclid=IwAR20g1zzjHFRo_doJQ_cwbhxnE1roBNKE5Da16f6E8jLJIs7tcyx_cVZkzQ

 

Pin It on Pinterest