“সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরী বোর্ড গঠনের করতে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে”

“সকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরী বোর্ড গঠনের করতে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে”

-শিরীন আখতার এমপি

আজ ১৬ ফেব্রয়ারি, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০.৩০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডেইলি স্টারের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে (ডেইলি স্টার ভবন, ফার্মগেট, ঢাকা) সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প শ্রমিকদের উপর করা গবেষণালব্দ ফলাফল নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য শিরীন আখতার এমপি, ফেনী-১ আসন এবং সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, লিয়াকত আলী মোল্লা, চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা জজ ) নিম্নতম মজুরী  বোর্ড, মোছা: হাজেরা খাতুন, যুগ্ম সচিব, বাজেট অধিশাখা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়, রোখসানা চৌধুরী, উপপরিচালক (উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান শাখা) প্রধান কার্যালয়, শ্রমঅধিদপ্তর, নুজহাত জাবিন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইকোনমিক জাসটিস) ক্রিশ্চিয়ান এইড। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি, রাজেকুজ্জামান রতন, এনসিসিডব্লিউই এর সদস্য সচিব নইমুল আহসান জুয়েল। বক্তব্য রাখেন, প্রক্ষাত স্কপ নেতা সৈয়দ শাহ্ মোঃ আবু জাফর, শাকিল আকতার, সাইফুজ্জামান বাদশা, আব্দুল ওহায়েদ, কামরুল আহসান, হামিদা খাতুন, শামিম আরা, নাহিদুল ইসলাম নয়ন, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডঃ জাকির হোসেন, অধ্যাপক, ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নারী শ্রমিকের সমস্যা আর নারীর সমস্যা দুটো আলাদা ব্যাপার। এখানে নারীরাও যেমন নির্যাতিত হয় তেমনি নারী শ্রমিকরাও কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের নির্যাতনেত স্বীকার হয়। সামুদ্রিক খাদ্য শিল্প শ্রমিকরা জানেনা তাদের জন্য আরো কত সুন্দর পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরো বলেন; এই শ্রমিদের জন্য একটা উন্মক্ত প্লাটফর্ম দরকার, যেখানে তারা দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারবেন। আজ আলোচনায় চিংড়ি শিল্পের উপর ফোকাস হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি ২০ বছর পরে অনেক পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছর পরের কথাও বলে গেছেন। আমরা সমুদ্রসীমা জয় করেছি, ফলে আমাদের সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। তাই এই খাতের শিল্প অনেক প্রসারিত হবে। এখানে যারা কাজ করেন তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। পুরো মৎস প্রক্রিয়াকরণজাতের উপর আমাদেরকে ফোকাস করতে হবে। ন্যূনতম মজুরির উপর লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০,০০০ টাকা করার দাবি বহুদিন থেকে উত্থাপিত হচ্ছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন; সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এর মধ্যে চিংড়িকে আমরা মজুরি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এই বোর্ড মালিক ও শ্রমিকের দাবিনামা নিয়ে আলোচনা ও বার্গেনিং করে। যে হারে বাজার মূল্য বেড়েছে সে হারে মানুষের আয় কমেছে। শ্রমিকের অবস্থা খুব খারাপ এটা বুঝতে পারছি। এরপর মজুরী ইস্যুতে কথা উঠলে আমরা এই বিষয়গুলো তুলে ধরবো। মজুরি বোর্ড সবসময় শ্রমিকের পক্ষেই কাজ করবে। 

মোছা: হাজেরা খাতুন বলেন; এখানে কারো দোষ নেই, তবে যে যেখানে খারাপ অবস্থায় আছে তাকে সেখান থেকে তুলে আনতে হবে। ন্যূনতম মজুরি ডিক্লিয়ার করলে কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। নারীরা পাচ্ছে ৫০০ টাকা এবং পুরুষরা পাচ্ছে ৭০০ টাকা। এই বৈষম্য না করে নারীকে দিয়ে অন্য কাজ করান যেখানে তাদের কষ্ট কম হবে। শ্রম আইনে বলা হয়েছে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহানুভূতি দেখাতে হবে। সংগঠন করতে হবে এবং সংগঠন করার জন্য মালিককে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রোখসানা চৌধুরী বলেন; সামুদ্রিক খাতের সাথে জড়িত নারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। যদি সম্ভব হয় এই শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করা, তাহলে ভালো হয়। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আমাদের ঠিক রাখতে হবে। শুধু কক্সবাজারে ছোট বড় শ্রমিক কাজ করে ১ লাখ ২০ হাজার।  যারা ইনফরমাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তারা যে কি পরিমান খারাপ আছে তাদের নিবন্ধন ও তালিকা করতে হবে এবং তাদের যদি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাহলে তাদের উন্নতি হবে। তাদের জন্য রেশনিং, বীমা ব্যবস্থা করতে হবে। দাদন ব্যবস্থা কমাতে হবে।

বক্তারা বলেন; মজুরি কোন দয়া নয়, মজুরি কোন ডাকাতিও নয়। কেউ কাউকে বিনা পয়সায় খেতে দেয় না। বার্গেনিং এর জায়গায় শ্রমিকরা হীনমন্যতায় আছে। ফলে মালিকরা প্রাথমিকভাবে শ্রমিকদেরকে নীচু দৃষ্টিতে দেখে। মালিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবে না এটাই স্বাভাবিক। তারা শ্রমিককে মর্যাদা দিতে চায় না, মজুরি দিতে চায় না। ফলে মর্যাদা পেতে হলে বার্গেইন করতে হবে। তারা আরো বলেন;  বাংলাদেশে বর্তমানে ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু আছে। প্রশ্ন হলো যে, ১৮- ২০ টি কোম্পানী চালু থাকলে ১০৫ টা কেন সরকারি নথিতে দেখা যায়। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে যে এই মালিকরা এই ফ্যাক্টরিকে দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে অন্য ব্যবসা করছে। ফলে শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছে।

বার্তা প্রেরক
হাসিনা আক্তার
সমন্বয়ক, এইচ.আর এন্ড এডমিন, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: ০১৭১২৪৭৯৫০১

Newspaper Links:

  1. https://epaper.ajkerpatrika.com/indexs.php?pagedate=2023-02-17&edcode=1&pgnum=1
  2. https://www.tbsnews.net/bangladesh/realistic-minimum-wage-sea-food-processing-workers-demanded-586218
  3. https://www.protidinersangbad.com/national/382757
  4. https://epaper.ajkerpatrika.com/imageview/68911/1386609664.html?fbclid=IwAR1l-JRs1AWrfhkKnv_THOFwEbLF4Gt0zTmHIIG96MdOBBbYwzZLoyS94As
  5. https://priyobanglanews24.com/2023/02/17/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b6%e0%a7%8d/?fbclid=IwAR20g1zzjHFRo_doJQ_cwbhxnE1roBNKE5Da16f6E8jLJIs7tcyx_cVZkzQ
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করো ও আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করো

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করো ও আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করো

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৫/১২/২০২২
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করো ও আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করো

-কর্মজীবী নারী

কর্মজীবী নারী’র ‘একতায় মর্যাদা’ প্রকল্পের অধীনে আজ ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ সোমবার বিকল ০৪ টায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও টেরে ডেস হোম্স ইতালিয়া-এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে মিরপুর-১৩ এলাকায় মানববন্ধন এর আয়োজন করে।

কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক হাছিনা আক্তার, প্রকল্প সমন্বয়ক শাহিদা আক্তার, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হুরমত আলী, জাতীয় শ্রমিক জোট- বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ প্রমুখ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন প্রকল্প কর্মকর্তা আল- জাহিদ, প্রকল্প সমন্বয়ক কাজী গুলশান আরা এবং রাবিতা ইসলাম।

সভাপতির বক্তরে‌্য উম্মে হাসান ঝলমল বলেন- প্রতিটি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে নারী নির্যাতনের চিত্রটি একেবারেই মেলানো যাই না, এখনও কেন নির্যাতন হবে? তাই যেখানেই নির্যাতন হবে সেখানেই আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমাদের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন পুরুষদের নিকট থেকে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে বক্তারা বলেন, নারীরা আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে আপন মহিমায় জায়গা করে নিচ্ছে। সাফ গেমসে আমাদের নারীদের যে অভিনব সফলতা সেটার মাধ্যমেই আমারা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, সুযোগ পেলে নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে নারীরা এগিয়ে আসছে, সফলও হচ্ছে তবে নারীর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপদ পরিবেশের অভাব নারীর এই অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। কন্যা শিশু থেকে বৃদ্ধ নারী পর্যন্ত সকলেই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি বখাটে ছেলেদের উত্যক্ততার কারনে আগামীর ভবিষ্যৎ মেয়ে শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাচ্ছে। এ কারনে বিভিন্ন পরিবারে বাল্য বিয়ের প্রবণতাও বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবী কর্মজীবী নারীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপদ কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা না থাকায় যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে নারীরা।

বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী সংবিধানের আলোকে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি হয়রানি ও নির্যাতন নিরসনে প্রচলিত আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও দুর্বল আইন সংশোধনের জন্য এই মানববন্ধন থেকে আহবান জানান বক্তারা।

এছাড়া নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত, নিরাপদ পরিবার, কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা এবং সেই সাথে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন ও আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করার জোর দাবী জানান আয়োজনে উপস্থিত বক্তারা ।

এই কর্মসূচী থেকে কর্মজীবী নারী’র দাবীসমূহ:

১.               নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত ও নিরাপদ, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে;
২.              নারী-পুরুষ সমান কাজে সমান মজুরি নিশ্চিত করতে হবে;
৩.              নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে হবে;
৪.              বৈষম্যহীনভাবে সকলক্ষেত্রে নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত ও নারীবান্ধব, কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে;
৫.              কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে, আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে;
৬.             গৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে;
৭.              গৃহশ্রমিকের অধিকার রক্ষায় গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়ন করতে হবে;
৮.              সকল কর্মজীবী শ্রমজীবী নারীদের জন্য, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে।
৯.              নারী নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
১০.            নির্যাতিতদের সঠিক বিচার পেতে আইনী প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
১১.            নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে হবে
১২.            নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে প্রচলিত দুর্বল বা ত্রুটিপূর্ণ আইনের সংস্কার এবং যুগোপযোগী নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন (PDF)


বার্তা প্রেরক,

রাবিতা ইসলাম,
প্রকল্প সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: (০১৯৩৭-০৩৮৭০০)

 

 

নারীর জন ̈ কর্মক্ষেত্র ও চলাচল হোক ঝুঁকিমু৩, সহিংসতামু৩ এবং নিরাপদ

নারীর জন ̈ কর্মক্ষেত্র ও চলাচল হোক ঝুঁকিমু৩, সহিংসতামু৩ এবং নিরাপদ

আজ ১ ডিসেম্বর, ২০২২ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ, ২০২২ পালন উপলক্ষে নারীশ্রমিক কণ্ঠ ‘ নারীর জন ̈ কর্মক্ষেত্র ও চলাচলহোকঝুঁকিম,সহিংসতামুক্ত এবং নিরাপদ’এইপ্রতিপাদ ̈নিয়ে মিরপুর-১০-এ আইডিয়াল ল্যাবেটারি স্কুলের সামনেএকটি মানববন্ধনের আয়োজন করে।

বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন

 

নারীর অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ দেশ হতে জঙ্গী, সন্ত্রাসী এবং মৌলবাদী অপশক্তির শিকড় উৎপাটন করতে হবে।

নারীর অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ দেশ হতে জঙ্গী, সন্ত্রাসী এবং মৌলবাদী অপশক্তির শিকড় উৎপাটন করতে হবে।

-শিরীন আখতার এমপি | PDF File
আজ ১৩ মার্চ ২০২২ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ এবং কর্মজীবী নারীর ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ও মাদক রুখতে এবং টেকসই আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নারী ও নারীশ্রমিক শান্তি সমাবেশ ও পাঁচ হাজার নারী ও নারী শ্রমিকের মিছিল ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি বলেন, এ বছর আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। গত ৮ মার্চ ছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লৈঙ্গিক সমতার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের স্বীকৃতি দানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী আমরা পালনকরি দিনটি। এ বছরের নারী দিবসে জাতিসংঘের স্লোগান ছিলো ‘নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ’। নারীর প্রতি সবরকম বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে পুরুষের সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আরও বেগবান হোক। “নারী-পুরুষের সমতা, টেকসই আগামীর মূল কথা” (Gender equality today for a sustainable tomorrow)—এই প্রতিপাদ্যে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়।

নারী-পুরুষের সমতা বলতে কি বুঝি তা তো আপনারা জানেন!

কিন্তু আপনারা কি জানেন টেকসই উন্নয়ন কি?

টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে, আপনারা আজ যে এই সমাবেশে এসেছেন এজন¨ আপনাদের পরিবারের পুরুষদের সালাম জানাই। তারা আপনাদের আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে দিয়েছেন। কোন বাঁধা দেয়নি। এটাই টেকসই উন্নয়ন। এই যে আজকের এই সমাবেশে হাজার হাজার নারী উপস্থিত হয়েছেন, আপনাদের পথে কেউ বাঁধা দিয়েছেন। দেয়নি। এটাই টেকসই উন্নয়ন। বাড়ী থেকে সমাবেশে এসেছেন, রাস্তা-ঘাট ভাঙ্গা পেয়েছেন, পাননি। ভাঙ্গা ব্রিজ পেয়েছেন? পাননি। এটাই টেকসই উন্নয়ন। সোলার বিদ্যুৎ পৌছেছে গ্রামে গ্রামে। শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছেন ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলার মানুষ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান করেছি । মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থানের সংস্কার কাজ করেছি। এগুলোই টেকসই উন্নয়ন।

কিন্তু এতসব উন্নয়নের পরেও আমাদের সমালোচনা করার মানুষের অভাব নেই। নারীর চলার পথে বাধা দেয়ার মানুষের অভাব নেই। তারা আসলে এ দেশের উন্নয়ন চায়না। তারা এ জাতীর শত্রু। তাই নারীর অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশের টেকসউ উন্নয় অব্যাহত রাখতে এ দেশ হতে জঙ্গী, সন্ত্রাসী এবং মৌলবাদী অপশক্তির শিকড় উৎপাটন করতে হবে।

দেশ যখন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হানিসার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছে। তখন দেশে আজ দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি। নিত্য পণ্য মানুষের ক্রয়সিমার বাহিরে। কিন্তু এ পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। যারা এ দেশের টেকশই উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনা। জঙ্গী মদদ দাতা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, আগুন সন্ত্রাসী, যারা এ দেশকে আফগান বানাতে চায় তারা আজ বাজার সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। জনগণকে এই সরকারের বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য তেল, ডালসহ নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার পরিচালিত হচ্ছে, সেই সরকার এত সহজে তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় আমি নিন্দা জানাচ্ছি। আমি মনে করি—এটা বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে রাখা সম্ভব। সেইসঙ্গে বলতে চাচ্ছি, সামনে রোজাকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য আমদানি হয়ে গেছে। সুতরাং, সে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।

তাই সরকারের কর্তা-ব্যক্তিদের প্রতি আমার উদাত্ব আহবান, দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি বন্ধ করুন। দায়িত্ব নিন, দুর্নীতির সিন্ডিকেটকে ধ্বংস করার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, ‘গণতন্ত্রের বাগান থেকে রাজাকারদের এবং অর্থনীতির ঘর থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক শান্তি আসবে। যারা নির্বাচনের কথা বাদ দিয়ে সরকার উৎখাতের প্রস্তাব দিচ্ছে, তারা ছদ্মবেশে ভূতের সরকার, অস্বাভাবিক সরকার ও চক্রান্তের সরকার ক্ষমতায় আনার পাঁয়তারা করছে।’

রবিবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৩ টায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় নারী ও নারীশ্রমিক শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চেীধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের, কর্মজীবী নারী’র সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা সুলতানা প্রমুখ।
সমাবেশের শুরুতে প্বিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। দিয়ে শূরু হয় সমাবেশের কর্মসূচী। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সমাবেশের সূচনা করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে সমাবেশ স্থলে বাংলাদেশের মানচিত্র স্থাপন করা হয়। অতিথিবৃন্দ ওই মানচিত্র গোলাপ ফুল দিয়ে ভরাট করেন। এরপর মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান ও নাচ পরিবেশন করা হয়।

সমাবেশ শেষে পাঁচ হাজার নারী ও নারী শ্রমিকের এক বিশাল বর্নাঢ্য মিছিল বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন শিরীন আখতার এমপি। বর্নাঢ্য মিছিলটি ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাইলট হাইস্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

মীম হত্যার দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে

মীম হত্যার দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০২/০২/২০২১

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল বিক্রেতা কিশোরী মীমের হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
“মীম হত্যার দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে”

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল বিক্রেতা কিশোরী মীম হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে ‘কর্মজীবী নারী’ আজ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা বলেন, সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং শ্রেণি বৈষম্য ভেদে সকল নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। সেই সঙ্গে সকল শিশুর ভরণপোষন এবং নিরাপদ শৈশবের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই করতে হবে।

সমাবেশের শুরুতে বক্তব্য রাখেন মীমের মা রুমা বেগম। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের নির্যাতনের শাস্তি চাই, আজকে আমার মেয়ের যে অবস্থা হয়েছে এমন ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে, আর কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়”।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাজীব আহমেদ, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহানাজ, কর্মজীবী নারীর সংগঠক আল জাহিদ।

মীম হত্যার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ^ যখন করোনা মহামারির সংকটে নিপতিত তখন দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা সকলকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমরা দেখেছি এই নির্যাতন কোনভাবেই থামছে না একের পর এক ঘটেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলনের মাসেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরা মীমকে ধর্ষন ও ধর্ষনের পর হত্যা হতে দেখেছি।

বক্তারা আরো বলেন, কোন নির্যাতনের যথাযথ শাস্তি হচ্ছে না বলেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বক্তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে মীম হত্যার সর্বোচ্চ দাবী জানান সেই সঙ্গে মীমের মা ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানে দাবি জানান।

উক্ত সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন, নারীপক্ষের সহকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাবিনা ইয়াসমিন, সদস্য নাজমা বেগম এবং সদস্য সৈয়দা সালমা পারভীন। বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কর্মজীবী নারী’র সমন্¦য়ক হোসনে আরা নকিব, দেওয়ান আব্দুস সাফি, ফারহানা আফরিন তিথি , রাবিতা ইসলাম, কাজী গুলশান আরা দীপা সহ কর্মজীবী নারী’র সংগঠকবৃন্দ।

বার্তা প্রেরক

ফারহানা আফরিন তিথি
প্রকল্প সমন্¦য়ক
কর্মজীবী নারী
(০১৫৭১৭৯৬৯৮৭)

PDF Link

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কর্মজীবী নারী’র দেশব্যাপি প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কর্মজীবী নারী’র দেশব্যাপি প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ৩০/০৯/২০২০

এম.সি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ সহ কুমিল্লায় পোশাক চলন্ত বাসে পোশাক শ্রমিক, খাগড়াছড়িতে আদিবাসি তরুণী ধর্ষণ ও সাভারে নীলা রায় হত্যা সহ দেশব্যাপি নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কর্মজীবী নারী’র প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত।

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ কর্মজীবী নারী বেলা ১১ টা হতে ১২ টা পর্যন্ত দেশব্যাপি ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও হত্যার মতো কয়েকটি নৃশংস ঘটনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ স্বরূপ একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক মোরশেদা জাহান, হাসিনা আক্তার, ফারহানা আফরিন তিথি ও হুরমত আলী এবং মিরপুর অঞ্চলের নারী নেতা মাহমুদা, শীলা, রাবেয়া আক্তার, শেখ শাহানাজ ও নার্গিস আক্তার।

বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্ব যখন করোনা মহামারির সংকটে নিপতিত তখন দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা সকলকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমরা দেখেছি এই নির্যাতন কোনভাবেই থামছে না একের পর এক ঘটেই চলেছে। বক্তারা বলেন কোন নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না বলেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বক্তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আহ্বান করেন বর্তমান সরকার নারী উন্নয়ণে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই এই সরকারের একনিষ্ঠ ভূমিকাই পারে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন কমিয়ে আনতে। তারা আরো বলেন একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহরণই হতে পারে নির্যাতন বন্ধের একমাত্র উপায়।

সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-

১. চলন্ত বাসে পোশাক শ্রমিক, খাগড়াছড়িতে আদিবাসী তরুনী, এমসি কলেজে গৃহবধু ধর্ষণ এবং সাভারে নীলা রায় হত্যায় অভিযুক্তকারির দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা
২. সকল প্রকার যৌন হয়রানিরকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা
৪. নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা
৫. নারী ও শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধে পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কৃতি গড়ে তোলা
৬. পাড়ায়- মহল্লায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সবল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলা

বার্তা প্রেরক

ফারহানা আফরিন তিথি
প্রকল্প সমন্নয়ক
কর্মজীবী নারী
(০১৫৭১৭৯৬৯৮৭)

PDF Link: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

KarmojibiNari: Green Avenue Park, House-01, Apartment B8, Road-03, Block-A, Section-06, Mirpur, Dhaka-1216

 

 

 

 

Pin It on Pinterest