প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৯/০৩/২০২৩
x
প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব,

নিরাপদ ও সমতার

-কর্মজীবী নারী

কর্মজীবী নারী’র “কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শহুরে নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ এবং তাদের অরক্ষিত অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়ায় যুক্তকরণ” প্রকল্পের অধীনে আজ ০৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪.০০ টায় ক্রিশ্চিয়ান এইড এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডস্থ ভাষানটেক এলাকায় মানববন্ধন, লাঠি খেলা ও পথ নাটকের আয়োজন করে।

কর্মজীবী নারী’র প্রকল্প সমন্বয়ক জারিন তাসনিমের সভাপতিত্বে¡ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুজহাত জাবিন, কর্মজীবী নারী’র প্রকল্প কর্মকর্তা হুরমত আলী, জাতীয় শ্রমিক জোট- বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ, গৃহশ্রমিক প্রিয়া প্রমুখ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক রিনা আমেনা।

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “প্রযুক্তি হোক শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতার” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কর্মজীবী নারী’র আজকের এই আয়োজন। আজ থেকে ১৬৫ বছর আগে আমেরিকার সূঁচ কারখানার নারীশ্রমিকেরা ১২ ঘন্টার কাজের বিরুদ্ধে, নি¤œ মজুরি এবং অমানবিক কাজের পরিবেশের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু করে তারই ধারবাহিকতায় নারীশ্রমিকের সংগ্রাম স্বীকৃতি পায় ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। নারীর এই আন্দোলনের মূল্যায়ন যদি করি তাতে দেখা যায় নারী নিজেকে চিনতে শুরু করেছে এ কথা ঠিক, নারীর সচেতনতা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু নারী তাঁর বৈষম্য, বঞ্চনা এখনও ঘুচাতে পারেনি।

ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুজহাত জাবিন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এখনও আরো অনেক কাজ করার বাকি আছে। আর সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নারীর অধিকার বিষয়ে আপনারা নিজেরা জানবেন এবং অন্যদের জানাতে সাহায্য করবেন।

বক্তারা কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক সুরক্ষায় তাদের প্রবেশাধিকারের জোর দাবি জানান।

এই কর্মসূচি থেকে কর্মজীবী নারী’র দাবিসমূহ:

১. ডিজিটাল বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ হতে হবে শ্রমজীবী বান্ধব, নিরাপদ ও সমতাপূর্ণ;
২. কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে;
৩. সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়ায় নারীর যুক্ততা নিশ্চিত করতে হবে;
৪. নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত ও নিরাপদ, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে;
৫. নারী-পুরুষ সমান কাজে সমান মজুরি নিশ্চিত করতে হবে;
৬. নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে হবে;
৭. বৈষম্যহীনভাবে সকলক্ষেত্রে নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত ও নারীবান্ধব, কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে;
৮. কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে, আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করতে হবে;
৯. গৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে;
১০. গৃহশ্রমিকের অধিকার রক্ষায় গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়ন করতে হবে;

বার্তা প্রেরক,

আমেনা,
প্রকল্প সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: (০১৭২৬৫৪৩২৯৩)

Pin It on Pinterest