প্রেসবিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২২/১১/২০১৯

নারীর প্রতিসহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ ২০১৯ এবং তাজরীন দিবসের দাবি
এখনই সময়, কলে কারখানায় এক আওয়াজ তোলার
খতম কর দুর্নীতি, খতম কর নারীর উপর সকল নির্যাতন
নিরাপদ জীবন চাই, নিরাপদ কর্মস্থল চাই, সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই।

আজ ২২ নভেম্বর ২০১৯ কর্মজীবীনারী ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নারীর প্রতিসহিংসতা প্রতিরোধপক্ষ ২০১৯ এবং তাজরীন দিবস উপলক্ষ্যে মিরপুরে ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেনারী শ্রমিক জমায়েত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কর্মজীবীনারীর সহ সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানেরন প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন আখতার এম.পিএবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জামাল, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কর্মজীবীনারীর সমন্বয়ক মোর্শেদা জাহান হোসেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোমা দত্ত। উক্ত অনুষ্ঠানে ঘোষনাপত্র পাঠ করেন কমজীবী নারীর সমন্বয়ক হোসনে আরা নকিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরিন আখতার এম. পিবলেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর ছাতা হল কর্মজীবী নারী। আমরা নিরাপদ জীবন চাই, নিরাপদ কর্মস্থল চাই, সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই। সব জায়গায় নারী ও পুরুষের সম্মানজনক কাজ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট সমাজ ও পরিবারের। নারীর প্রতি সমবেদনা নয় প্রশংসার নজরেতাকাতে হবে। আমরাতো পোশাক তৈরি করি সারা বিশ্বের সভ্যতা রক্ষা করার জন্য। আমি নারী, আমি দাস নই, আমি মানুষ। তাহলে কেন আমাদের যৌন নির্যাতনের কথা শুনতে হবে, কেন আগুনে পুড়তে হবে? এখনই সময় আওয়াজ তোলার কলে কারখানায়, খতম কর দুর্নীতি, খতম কর নারীর উপর সকল নির্যাতন।

সভাপতির বক্তব্যে উম্মে হাসান ঝলমল বলেন, তাজরীন দুর্ঘটনা আমাদের জন্য বড় একটি ক্ষত। এটাকে কেন্দ্র করে আমাদের সচেতন হতে হবে।
আলোচক ড. উত্তম কুমার দাস বলেন কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ থাকা একজন নারীর অধিকার। কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা মালিক কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সম্পর্কিত সনদ আই এল ও কনভেনশন ১৯০ সম্পকে তিনি আলোচনা করেন এবং বলেন আমাদের সবাইকে অনাকাঙ্খিত আচরণ থেকে সচেতন থাকতে হবে।

জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর দপ্তর সম্পাদক রাজীব আহমেদ বলেন এখনও আমরা কারখানাগুলোতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করতে পারি নাই। কর্মক্ষেত্রে এখনও নারীরা পুরুষদেরদ্বারা মৌখিক ও শারিরীক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।শ্রমিক নেত্রী শাহিন আক্তার পারভীর বলেন আমরা এখনও দেখছি নারীরা প্রতি পদে পদে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ‘সংগঠন ও ঐক্য এই নির্যাতন থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জামাল বলেন নারীর সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য আমাদের অনেক আইন কানুন তৈরি হয়েছে। কিন্তু আইনের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাহলে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, পোশাকশিল্পেনারীশ্রমিকরাঅনিরাপদ কর্মপরিবেশে, শ্রমজীবীনারীরপ্রতিসহিংসআচরণ কেবলতাদের ক্ষমতায়নেপ্রতিবন্ধকতাইসৃষ্টিকরেনাবাধাগ্রসÍকরেজাতীয় অর্থনৈতিকউন্নয়নকে, সমাজকেকরেপশ্চাদমুখী।শ্রমজীবী নারীরপক্ষ থেকে তিনজন নারীশ্রমিক কর্মক্ষেত্রেতাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং বলেন নারীর প্রতি সহিংসতা কি/ যৌন হয়রানি কি এবং কমস্থলে আমরা যে সহিংসতার শিকার হয় সেটা আমরা জানতাম না কিন্তু কর্মজীবী নারীর কাছ আমরা অনেক কিছু শিখেছি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি এবং আমরা অনেক সাহসী হয়েছি। আমাার সাথে এবং আমাদের সহকর্মীদের সাথে কোন ধরনের অন্যায় হলে আমরা এখন প্রতিবাদ করি। আমরা চাই নারীরা যেন কর্মস্থলে আর নির্যাতিত না হয়। নারী বাচঁবে এখন সংগ্রামে, নারী বাঁচবে এখন সম্মানে।
কর্মজীবী নারী নিম্নোযুক্ত দাবির বাস্তবায়নে আহ্বায়ন করছে:

  • ন্যায্য মজুরী, রেশন, যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সুন্দর সমাজ চাই
  • নারীর জন্য উপযুক্ত ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশএবংনারীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌন হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক কর ।
  •  নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্পর্কিত প্রচলিত আইন যুগোপযুগী করার লক্ষ্যে সংশোধন এবং নতুন আইন প্রণয়ন কর।
  •  নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের সুষ্ঠুএবং কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত কর।
  • জাতীয় অর্থনীতির সকল কর্মকান্ডে নারীর সক্রিয় ও সম অধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ কর।

বার্তা প্রেরক

 

সানজিদা সুলতানা, পরিচালক
যোগাযোগ: আলজাহিদ (০১৬৮৬১৬০৬২৯)

KarmojibiNari: Green Avenue Park, House-01, Apartment B8, Section-06, Mirpur, Dhaka-1216Road-03, Block-A,

Pin It on Pinterest