প্রেস বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আজ ২ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী মিরপুর-11 তে বিসিসিপি এর হল রুমে জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক কর্মশালার আয়োজন করে। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাকিউন নাহার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নইমুল আহসান জুয়েল, যুগ্ম সমন্বয়ক জিস্কপ ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, আব্দুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট, সিরাজুল ইসলাম রনি, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গামেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, খালেকুজ্জামান লিপন, সহসভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, আসাদুজ্জামান রুমন, এডভাইজারজিআইজেড।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, সানজিদা সুলতানা ও টিএসএসএসআর এর প্রতিনিধি সৈয়দ সাদিয়া হাসান। মুল বিষয় বস্তুর উপরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেহিন মাহমুদ ও রিনা আমিনা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ। কর্মশালায় আরো উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করবেন ১৪ টি সেক্টরাল ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দ। 

সাকিউন নাহার তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীকালীন সময়ে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার রপ্তানী মুখী শিল্প কারখানার কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম চালু করে।

একই সাথের প্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার প্রাথমিক ভাবে রপ্তানীমুখীতৈ রিপোশাক এবং জুতা ও চামড়াজাত পণ্যশিল্পের ৪টি মালিক সংগঠনের আওতাভুক্ত কারখানার শ্রমিকদের শর্তপূরণ ও যাচাই সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।এই কর্মসূচীতে আমরা ৮টাসেক্টরের সাথে কাজ করি।যাদের জন্য প্রোগ্রাম তাদের জানানোর চেষ্টা করছি কর্মজীবী নারীর এর সাথে মিলে।এই কার্যক্রম সফল করতে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই।

আসাদুজ্জামান রুমন বলেন, বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের ৫২ টা অফিস আছে সারা দেশে। সেখানে গেলেই রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন শ্রমিকরা। ঢাকায় আসতে হবে না। স্থানীয় অধিদপ্তরে গেলেই হবে। ভেরিফিকেশনেশ্রমিক নির্দিষ্ট কারখানায় কাজ করেছেকিনা সেই বিষয় নিশ্চিত করতে চাই। কাজের ট্রান্সপারেন্সিটা রাখতে চাই।

সৈয়দ সাদিয়া হাসান বলেন, আমরা BGMEA এর কাছে কর্মহীন শ্রমিকদের লিস্ট পাঠিয়েছি, একটু সময় নিলেও কোনো লিস্ট ফিরিয়ে দেয়নি তারা। সেই লিস্ট থেকে অনেকেই সহায়তা পেয়েছেনআবার কেউ কেউ পায়নি।

শ্রমিক নেতারা বলেন, ৪ বছর ধরে শুনি টাকা পাবে, কিন্তু পাচ্ছে কোথায়? আয়োজন মনে হয় বিশাল, কিন্তুশেষেকিছুইহয়না।শ্রমিক অন্যায় না করলে ও চাকরীর থেকে রিজাইন নিতে বাধ্য করে কারখানার মালিক।শতকরা ৯০জন শ্রমিক ভুক্তে ভোগী। শ্রমিকরা ভাসমান ভাবে শ্রম এলাকায় বসবাস করেন।সেক্ষেত্রে কর্মহীন শ্রমিক পাওয়া কঠিন। করণ কাজ নাথাকলে শ্রমিকরা গ্রামে চলে যায়।

শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, করোনার সময় ছাড়াও এখনো শ্রমিক ছাটাই হচ্ছে, অনেকে অসুস্থ হয়ে চাকরীচুত্য হচ্ছে। তাদের ফেডারেশনের মাধ্যমে রেজিঃ করতে পারলে ভালো হয়। কিন্তু আমরা রেজিষ্ট্রেশন করার সহজ উপায় পাইনি। কর্মহীন শ্রমীক গ্রামে চলে গেছে, তাহলে সে কিভাবে রেজিঃ করতে পারবেএ কি সম্ভব! BBGMEA & BKMEA ই লাথি মেরে বের করে দিছে, তারা কিভাবে সাহায্য করবে শ্রমিকদরে। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের চাদায় চলে। এখানে যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো তা সব সময়ই শুনি, তবে সমস্যা গুলো EU & giz এর উদ্যোগে কিছুটা সহজ সমাধানের উপায় আছে বলে মনে হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়নকে সুযোগ দেন, শ্রমিকদের খোঁজ করা, প্রচারপ্রচারনাকরারজন্য।

বার্তা প্রেরক
রাজীব আহমেদ
সমন্বয়ক, (প্রোগ্রাম) কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: 01726291664 | PDF

KarmojibiNari: 159/A, Regent parbata Grand, Shusona, Apartment -102 & 104, Senpara, Parbata, Mirpur, Dhaka.

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “নারীর গৃহস্থালি ও সেবা/ যত্নমূলক কাজের চাপ কমানো এবং কর্মে নিয়োজিত থাকার জন্য পরিবার, সমাজ, নিয়োগকারী ও সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে” ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “নারীর গৃহস্থালি ও সেবা/ যত্নমূলক কাজের চাপ কমানো এবং কর্মে নিয়োজিত থাকার জন্য পরিবার, সমাজ, নিয়োগকারী ও সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে” ।

-মেহের আফরোজ চুমকি
মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩,
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ,
প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

‘কর্মজীবী নারী’আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০২৪—এর “নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগএগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগএই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের অবৈতনিক গৃহস্থালি ও যত্ন/ সেবামূলক কাজ: নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ক গবেষণার উপর আজ ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার সকাল ১০:৩০ — দুপুর ০১.০০ টা পর্যন্ত সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার (সিআইসিসি) মিলনায়তন, চামেলি হাউস, ১৭ তোপখানা রোড, ঢাকা ১০০০ একটি সেমিনার আয়োজন করেছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ চুমকি, মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সভাপতিত্ব করেছেন কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১)। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেছেন সানজিদা সুলতানা, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী।

কর্মজীবী নারী’র ‘অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় “Unpaid care work: perspective of employers and workers in RMG sector” শিরোনামে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল পোশাক শিল্পের নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের অবৈতনিক গৃহস্থালি ও যত্ন/ সেবামূলক কাজের পরিস্থিতি বিশ্লেষণসহ নারী’র অবৈতনিক সেবামূলক কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে আনা। পাশাপাশি এ বিষয়ে কারখানা ব্যবস্থাপকের দৃষ্টিভঙ্গি ও এর ফলে কারখানায় নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে কী ধরনের সহায়ক ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো সামনে নিয়ে আসা। আমরা মনে করি, নীতি—নির্ধারণী পর্যায়ে তৈরি পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতি উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হলে এই গবেষণাটি গুরুত্বপূণূ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া তৈরি পোশাক খাতের নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে সরকার এবং নিয়োগদাতা থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে আলোচনা করাসহ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াও প্রয়োজন।

সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কর্মজীবী নারী’র সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল। গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন জাকিয়া হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ক্রিয়েটিভ পাথওয়ে বাংলাদেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ নারী পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে চাকরি থেকে ঝরে পড়ছে। বর্তমানে পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত নারীশ্রমিকদের ৭১ শতাংশকে নিজের সন্তান দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হয়। ফলে একইসাথে চাকুরি এবং সন্তান লালন পালন করতে গিয়ে তারা অনেকেই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। ৩৬ শতাংশ নারী শ্রমিক এ দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে প্রচন্ড কাজের চাপবোধ করেন। ৪১ শতাংশ নারী শ্রমিক নিজের কোন সময়ই পান না।

মেহের আফরোজ চুমকি, মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলেন, সকল কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা বাধ্যতামূলক করা দরকার। এইসব সেমিনার আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরতে হবে।

আয়শা সিদ্দিকী, উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জানান, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় ৬০ টি ডে কেয়ার চালু করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া তিনি মনে করেন নারী শ্রমিকদেরকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার এবং কারখানার মালিককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দক্ষ শ্রমিকদের কোনভাবেই ঝরে পড়তে দেওয়া যাবে না বলে তিনি দাবি করেন।

মোছাঃ জুলিয়া জেসমিন, যুগ্ম মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য অধিশাখা) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মনে করেন, ডে কেয়ার ইস্যুতে আলাদা করে কারখানা ভিজিট করা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ফ্যাক্টরির সাইজ অনুযায়ী কতগুলো ডে কেয়ার থাকা দরকার এবং এলাকাভিত্তিক ডে কেয়ার স্থাপন করা যায় কিনা এ ব্যাপারেও আলোচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৪ ঘন্টা ওভারটাইম করার কারণে শ্রমিকদের কাজের স্পৃহা কমে যায়। ৬ বছরের অধিক বয়সী বাচ্চাদেরও যেন ডে কেয়ারে রাখা যায় সে ব্যাপারেও কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, শাহ মো: আবু জাফর, সভাপতি বলেন, শ্রমিক কল্যাণের জন্য সবার আগে কারখানার মালিকদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীর অগ্রযাত্রায় এ ধরনের সেমিনার আরও বেশি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি নারীর অগ্রযাত্রায় আজকের এই সেমিনার মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রাইজিং গ্রুপের এসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, এডমিন এন্ড কম্প্লায়েন্স, মইনুল ইসলাম বলেন, কারখানার ডে কেয়ারে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চা রাখা যায়। কিন্তু এর পরে বাচ্চাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে অনেক নারীকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। তাই আমি মনে করি ৬-১৪ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রয়োজন।

ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ব্রোকার, অক্সফ্যাম ইন গ্রেট ব্রিটেন,”আমি নারী, আমি সব পারি” এই ধারণা আমাদের পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে। কেননা একজন নারী যখন সবকিছু পারতে যায় এবং করতে যায় তখনই তাকে শ্রম শোষণের শিকার হতে হয়। তাই ঘরে বাইরে নারীর কাজের চাপ কমানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেখানে নারীদের সুবিধা দেওয়া হয় সেখানে নারীদের ঝরে পড়ার হার কম। তাই নারীর জন্য এই সুবিধার বিষয়গুলো পলিসিতেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নারীশ্রমিক ইয়াসমিন বলেন, বেতন বাড়র সাথে সাথে প্রোডাকশনের চাপ বেড়েছে। আমি চাই আমার কাজের চাপ কম হোক এবং কারখানায় ডে কেয়ার থাকুক যেন আমি আমার সন্তানদের ন্যূনতম দেখাশোনা করতে পারি।

নারীশ্রমিক রুবি বলেন, খুব ছোট বেলায় কারখানায় কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এখন বয়স বৃদ্ধির অজুহাতে আমরা চাকরি হারিয়েছি। যখন দক্ষ হয়ে উঠছি তখনই আমরা চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে যাচ্ছি। আমরা যারা বয়স বেশির কারণে কারখানা থেকে চাকরি হারাচ্ছি তাদের জন্য আপনারা কিছু করেন।

কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১) বলেন, সকল নারীই কর্মজীবী নারী শ্লোগানে কর্মজীবী নারী প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে আমাদের লক্ষ্য ছিল নারীর অধিকার ও কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা। পোশাক শিল্প থেকে নারী শ্রমিক ঝরে যাচ্ছে তবে বর্তমানে নারীদের কাজের পরিধিও বেড়েছে। ফলে কোন কাজটা নারীর করতে ভালো লাগবে সেটা ভাবার সুযোগ পাচ্ছে নারীরা। সুতরাং পোশাক শিল্প ছেড়ে নারীরা কোন কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে সেটা নিয়েও গবেষণা করতে হবে। নারীরা সব পারবে না, নারীর সাথে সাথে পুরুষকেও পারতে হবে। ঘরের কাজের চাপ কমানোর জন্য ঘরের পুরুষকেও দায়িত্ব নিতে হবে। একইসাথে সরকার এবং নিয়োগকর্তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। নারীর জন্য বিনিয়োগ করলেই সমাজে নারীর সমঅধিকার ও সমসুযোগ নিশ্চিত হবে।

সেমিনারে মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার, উপপরিচালক (প্রশাসন), সমাজসেবা অধিদপ্তর, রোখসানা চৌধুরী, উপপরিচালক (মেডিকেল ও শ্রমকল্যাণ), শ্রম অধিদপ্তর, জিআইজেড, এফইএস, ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশন, ইটিআই এর প্রতিনিধিবৃন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন এবং নারীশ্রমিক কন্ঠের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনে প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সব শেষে সেমিনারের সভাপতি কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১) সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ

  • শিশুকাল থেকেই জেন্ডার এবং কাজের সমবন্টনের বিষয়ে শিশুদের জানাতে হবে
  • কারখানায় সকলসুবিধাসহ কার্কর যে কেয়ার স্থাপন করা
  • এলাকাভিত্তিক চাইল্ড কেয়ার স্থাপন করতে হবে
  • নারীর অবৈতনিক কাজের চাপ কমাতে সরকার ও নিয়োগকর্তার পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়নকে ভূমিকা পালন করতে হবে
  • নারী শ্রমিকদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা, দরকষাকষি, পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য ও যত্নমূলক কাজের বিষয়ে জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা
  • বিদ্যমান আইনের বাস্তবায়ন করা
  • সচেতনতামূলক যৌথ কর্মসূচি আয়োজন করা

 

 

 

Press Invitation from Karmojibi Nari on the occasion of IWD-2024

Dear Respective Concern, | PDF

Greetings from Karmojibi Nari!

We are delighted to inform you that KN is going to organize a Women workers gathering and colorful Rally on the occasion of International Women’s Day -2024 which will be held on 8th March 2024 in front of the press Club at 10:00 am. Shirin Akhter, Founder President of Karmojibi Nari will preside over the event.

Please find the attached press invitation letter for detailing for your kind reference.

Thanks and Regards
Hasina Akhter
Coordinator (HR & Admin)
Karmojibi Nari
01712 479501

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | PDF
তারিখ: ১৭/০২/২০২৪

‘কর্মজীবী নারী’ প্রাতিষ্ঠানিক ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক উভয় খাতের নারীশ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক জীবনমান ও শ্রমঅধিকার পরিস্থিতি জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কর্মজীবী নারী ‘অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’ এর সহযোগিতায় Transforming Care Work for Women in Ready-Made Garment Sector শিরোনামে মিরপুরে অবস্থিত চারটি তৈরি পোশাক শিল্পের ১০০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যে একটি র‌্যাপিড কেয়ার এ্যানালাইসিস পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে নারী’র অবৈতনিক সেবামূলক কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে আনা হয় এবং এর ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা কী ধরনের বাধার সম্মুখীন হয় সে বিষয়গুলোও সনাক্ত করা হয়।

নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তৈরি পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং তৈরি পোশাক খাতের নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে কারখানা ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে আলোচনা করা সহ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নে্য়ার লক্ষ্যে ‘কর্মজীবী নারী’ “পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয়” শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেছেন শাহীন আক্তার, সহসভাপতি, কর্মজীবী নারী। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন সানজিদা সুলতানা, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী। সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহজাবিন আহমেদ, হেড অব জেন্ডার জাস্টিস এন্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন প্রোগ্রাম, অক্সফ্যাম, ফতেমা তুজ জোহরা, প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ব্রোকার, অক্সফ্যাম। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কারখানার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন, আইএনজিও, একাডেমিশিয়ান, নারী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দসহ বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত নারী ও পুরুষ শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিমিয় সভায় র‌্যাপিড কেয়ার এনালাইসিসের ফলাফল উপস্থাপন করেন রিনা আমেনা, প্রকল্প সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী। র‌্যাপিড কেয়ার এনালাইসিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত নারীশ্রমিকেরা প্রতিদিন ৪.৫৭ ঘন্টা সময় গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজে ব্যয় করে যেখানে একজন পুরুষ শ্রমিক ব্যয় করে ১.৮৩ ঘন্টা। দেখা যাচ্ছে নারীরা এক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে ২.৭৪ ঘন্টা বেশি সময় ব্যয় করে। অন্যদিকে দেখা যায়, একজন পুরুষ নিজের জন্য সময় ব্যয় করে প্রতিদিন গড়ে ১২.৬৯ ঘন্টা যেখানে একজন নারী নিজের জন্য সময় পায় গড়ে মাত্র ৯.২০ ঘন্টা। এখানে দেখা যায়, নারীরা গড়ে প্রতিদিন নিজের জন্য পুরুষের তুলনায় ৩.৪৯ ঘন্টা কম সময় ব্যয় করে। এ থেকেই বোঝা যায়, গৃহকর্ম এবং সেবামূলক কাজে নারী ও পুরুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারসাম্যহীনতা রয়েছে যা নারীর ভালো থাকা ও নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে নারী কর্মক্ষেত্রে অনেক বাধার সম্মুখীন হন যা পোশাক শিল্প হতে নারীকে সরে আসতে বাধ্য করে।

নারীশ্রমিক কাজলরেখা বলেন, আমাদের সন্তানদের দেখাশোনা করাটাই চাকরি ছেড়ে দেয়ার প্রধান কারণ্, এছাড়া সন্তানকে নিরাপদে স্কুলে আনা-নেয়া ও দেখাশোনা করার কেউ থাকে না্। ফলে বাধ্য হয়েই নারীদের চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। এক্ষেত্রে যদি নারীশ্রমিকদের সহযোগিতা করা হয় তাহলে তারা ঝরে পড়বে না।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কামরুন নাহার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন বলেন, নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রধান্য দেয়া হয় না। সে ঘরে বাইরে অনেক কাজের চাপে থাকে। ফলে একসময় ঘর সামলানো আর চাকরি সামলানোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে তারা কাজ ছেড়ে দেয়। তাই নারীর মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাদের যথাযথ মূল্যয়ন করতে হবে। তাহলেই কর্মক্ষেত্র থেকে নারী আর ঝরে পড়বে না।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এম এ সালাম, গার্মেন্ট শ্রমিক জোট বাংলাদেশ বলেন, স্থানীয় সরকারি জনপ্রতিনিধি, কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং সুশাীল সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কমিউনিটি ডে কেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ডে কেয়ারে বাচ্চা রাখার সময় বাড়াতে হবে। তাইলে নারীরা দুশ্চিন্তামুক্তভাবে কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে।

কারখানা ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি বলেন, ডে-কেয়ার বিষয়ে শ্রম আহনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। কেবলমাত্র বায়ারকে দেখানোর জন্য ডে-কেয়ার স্থাপন করলে হবে না, বরং একজন শিশুকে সঠিকভাবে লালন পলন করার জন্য সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিচর্যাকারী নিয়োগ করে ডে কেয়ার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এছাড়া কারখানার প্রতিনিধিরা পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন।

এছাড়া শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ৬মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ ৬-১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার দাবিও করেছেন। নারীশ্রমিকেরা বলেন, আমরা চাই আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা হোক এবং আমাদের কাজের মূল্যায়ন করা হোক। আমরা নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই যেখানে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। আমরা চাই কারখানায় যেন একজন বাচ্চাকে রাখার মত সকল সুযোগ সুবিধা থাকে।

ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ব্রোকার, অক্সফ্যাম বলেন, ফ্যাক্টরির উন্নয়নের জন্যই নারীদের অবৈতনিক পরিচর্যার চাপ কমাতে হবে। কারণ ব্যবসা করতে হলে মানবাধিকারকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ফলে নারীকে ঘরে-বাইরে কাজের ক্ষেত্রে এমন কোন চাপে ফেলা যাবে না যা তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আজকের এই সভা থেকে আমরা এমন গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে আসবে যা দিয়ে আমরা গঠনমূলক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

মেহজাবিন আহমেদ, হেড অব জেন্ডার জাস্টিস এন্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন প্রোগ্রাম, অক্সফ্যাম বলেন, সবার আগে সামাজিক ও পারিবারিক পরিবর্তন আনতে হবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার পর নারীর কাজের চাপ বেড়ে গেছে। নারী শ্রমিকের পক্ষে যে আইনগুলো আছে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন দরকার। নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি নিয়ে অক্সফাম এবং কর্মজীবী নারী একত্রে কাজ করছে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, কারখানায় সরকারের নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ফ্যাক্টরিতে নিয়মিত পরিদর্শন প্রয়োজন। এছাড়াও শ্রমিকের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য রেশন এবং চাকুরি শেষে পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মতবিনিময় সভার সভাপতি শাহীন আক্তার, সহসভাপতি, কর্মজীবী নারী বলেন, আমরা চাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করা হোক। যেখানে শিশুদের জন্য ডে কেয়ার এবং বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শেষ করেন। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন সানজিদা সুলতানা, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১৬/০২/২০২৪
বরাবর
বার্তা সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদক/এসাইনমেন্ট অফিসার

মহোদয়,
কর্মজীবী নারী’র পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ‘কর্মজীবী নারী’ প্রাতিষ্ঠানিক ও অ—প্রাতিষ্ঠানিক উভয় খাতের নারীশ্রমিকদের আর্থ—সামাজিক জীবনমান ও শ্রমঅধিকার পরিস্থিতি জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কর্মজীবী নারী’র পক্ষ থেকে ‘অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’ এর সহযোগিতায় Transforming Care Work for Women in Ready-Made Garment Sector শিরোনামে মিরপুরে অবস্থিত চারটি তৈরি পোশাক শিল্পের ১০০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যে একটি র‌্যাপিড কেয়ার এ্যানালাইসিস পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে নারী’র অবৈতনিক সেবামূলক কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে আনা হয় এবং এর ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা কী ধরনের বাধার সম্মুখীন হয় সে বিষয়গুলোও সনাক্ত করা হয়।

নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তৈরি পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং তৈরি পোশাক খাতের নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে কারখানা ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে আলোচনা করাসহ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে ‘কর্মজীবী নারী “পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয় শীর্ষক  একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন শাহীন আক্তার, সহসভাপতি, কর্মজীবী নারী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কারখানার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন, আইএনজিও, একাডেমিশিয়ান, নারী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দসহ বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত নারী ও পুরুষ শ্রমিকবৃন্দ।উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠান: মতবিনিময় সভা
বিষয়: “পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের গৃহস্থালি ও যত্ন/সেবামূলক কাজের (Domestic and Care Work) দায়িত্ব, প্রভাব ও করণীয়”
সময় ও ভেন্যু: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার, সকাল ১০:৩০-দুপুর ০১.০০ টা পর্যন্ত,

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি), প্লট # ৮, রোড# ০৩, ব্লক — এ, সেকশন—১১, মিরপুর, ঢাকা—১২১৬

অনুগ্রহপূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক/দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল/বার্তা সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রতিবেদক ও একজন চিত্র সাংবাদিক/একজন ক্যামেরা ক্র্রু পাঠানোর অনুরোধ করছি।

ধন্যবাদ
রিনা আমেনা
প্রকল্প সমন্বয়ক
কর্মজীবী নারী | PDF

 

Consultation Meeting – 25 October 2023

It gives us immense pleasure to inform you that Karmojibi Nari (KN) is going to Organize a significant Consultation Meeting on “The Vulnerability of Women and Women Workers in the Post-Covid-19: Needs and Realities of Decent Work and Social Protection” supported by Christian Aid. The Consultation Meeting is scheduled to take place on 25 October 2023, Wednesday from 10:30 am to 01:00 pm at Azimur Rahman Conference Hall, Daily Star, Farmgate, Dhaka. We are honored to have Honorable Parliament Member Barrister Shameem Haider Patwary MP, (Gaibandha-1) as Chief Guest.

Concept note for National level consultation-25 October 2023_PDF
Press Release for Consultation Meeting-Karmojibi Nari_PDF

Pin It on Pinterest