জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় কর্মজীবী নারী’র ক্ষোভ প্রকাশ

কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সভাপতি দিলনাশিঁ মহসেন, সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল ও শাহীন আক্তার পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, নির্বাহী পরিচালক রোকেয়ারফিক এবং অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদাসুলতানা জগন্নাথবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনাকে একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।

নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনা অবন্তিকাকে কতটা মানসিক চাপে ফেলেছে এটা সহজেই অনুমান করা যায়, যদি শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজকে তাকে এভাবে হারিয়ে যেতে হতো না।  নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অবন্তিকার এই ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনলেন । তাঁর বক্তব্য ছিল আরও ভয়াবহ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মেয়েটির প্রতি সুবিচার করা দূরে থাক এই মেয়েটি প্রতিবাদ করার কারণে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নেতৃবৃন্দ  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একেরপর এক যৌন হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা ২০০৯ অনুযায়ী, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে একটি কার্যকর যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি থাকবে। অবন্তিকা ও কাজী ফারজানা মিমের  ঘটনা উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির কার্যকারিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

নেতৃবৃন্দ মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে এই ঘটনাগুলি কখন, কোথায়, কিভাবে ঘটছে এসব বিষয়ে তদন্ত করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য যৌন হয়রানি ও নিপীড়নমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান যাতে আর কোন অবন্তিকাকে হারিয়ে যেতে না হয়। একইসাথে নেতৃবৃন্দ অবন্তিকাসহ সকল ঘটনার বিচারের দাবিতে এবং নারী শিক্ষার্থীর প্রতি সকল ধরনের হয়রানিনির্যাতন বন্ধে নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে  সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বার্তা প্রেরক

হাছিনা আক্তার, সমন্বয়ক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ নাম্বার: 01712-479501

জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ

জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ

‘জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ’ ২০১৭ সাল থেকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের দাবিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেখেছি, ২০২২ সালের শ্রম বিধিমালা সংশোধনীতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬- এর ৩৩২ বিধিতে বর্ণিত ‘মহিলাদের প্রতি আচরণ’ সংμান্ত
ধারার সাথে যৌন হয়রানির সংজ্ঞা ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কিছু অসম্পূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নির্দেশনার সাথে সাংঘর্ষিক।

যৌন হয়রানির অভিযোগে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধান নিশ্চিতকরণে অভিযোগ কমিটিতেপ্রতিষ্ঠানের বাহিরের দুইজন অভিজ্ঞ সদস্য থাকার বিষয়ে হাইকোর্ট প্রদত্ত বিধানটিকে ২০২২ সালের শ্রম বিধিমালাতে সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে- যার ফলে অধিকাংশ অভিযোগ কমিটির নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা আরও বেড়েছে ।

২৫ শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারাভিযানও একই সাথে পালিত হয়। এই দিবস ও প্রচারাভিযানকে সামনে রেখে ‘জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ’ ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা
প্রতিরোধ এবং যথোপযুক্ত আইনের প্রয়োজনীয়তা’ র্শীষক একটি অনলাইন মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

মতবিনিময় সভাটি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০-দুপুর ০১.০০ টা পর্যন্ত অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনলাইন মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরীন আখতার এমপি (ফেনি-১)। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দিলনাশিঁ মোহসেন, সভাপতি, কর্মজীবী নারী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সংগঠন, আইএনজিও, ব্রান্ড ও বায়ার, একাডেমিশিয়ান, নারী সংগঠন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নারীশ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

  1. https://www.tbsnews.net/economy/corporates/gender-platform-bangladesh-hosts-webinar-preventing-violence-against-women-745094
  2. https://www.daily-sun.com/printversion/details/723009
ইয়াসমিন হত্যা দিবস ও গৃহকর্মীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৪ আগস্ট ২০২৩ বিকেল ৪টায় সুনীতি প্রকল্প ও কর্মজীবী নারীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ইয়াসমিন হত্যা দিবস ও গৃহকর্মীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৪ আগস্ট ২০২৩ বিকেল ৪টায় সুনীতি প্রকল্প ও কর্মজীবী নারীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রিয় সুধী,
“ইয়াসমিন হত্যা দিবসর ২৮ বছর”কে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধে এবং নির্যাতকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আজ ২৪ আগস্ট ২০২৩ কর্মজীবী নারী ও সুনীতি প্রকল্পের উদ্যোগে বিকেল ৪টায় মিরপুর ১, সনি সিনেমা হলের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই মানববন্ধনের খবরটি আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করার অনুরোধ রইলো। আপনার এই উদ্যোগ গৃহকর্মীর উপর নির্যাতন এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে এবং গৃহকর্মীরা যেন সঠিক বিচার পায় তার পক্ষ সমর্থন করবে।
নিম্নে মানববন্ধনের কয়েকটি ছবি এবং প্রেস রিলিজ সংযুক্ত করা হলো।
ধন্যবাদ
ফারহানা আফরিন তিথি
প্রকল্প সমন্বয়ক
ফারহানা আফরিন তিথি
যোগাযোগ: ০১৮১২৮৬৮২৮২
বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুণ PDF

ইয়াসমিন হত্যা দিবস পালন

ইয়াসমিন হত্যা দিবস পালন ও গৃহকর্মীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৪ আগস্ট ২০২৩ বিকেল ৪টায় সুনীতি প্রকল্পের সহযোগীতায ও কর্মজীবী নারীর আয়োজনে মানববন্ধন

প্রিয় সুধী,
কর্মজীবী নারী’র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা!

১৯৯৫ সালে ইয়াসমিন আক্তার (১৪) নামের একজন গৃহকর্মীকে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের দলমাইল এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার সময় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পুলিশ ভ্যানে তাকে বাড়িতে পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতির নাম করে তাকে ধর্ষণর পর হত্যা করে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ২৬ আগস্ট ১৯৯৫ সালে বিক্ষুব্ধ জনতা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমন করলে অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করলে ১৭ জন নিহত হয় এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে গৃহশ্রমিকের উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধে ২৪ আগস্ট “ইয়াসমিন হত্যা” দিবস পালন করা হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ভাবে গৃহকর্মীর নির্যাতনের খবর আমরা পত্রিকা মারফত জানতে পারছি। সম্প্রতি, ঢাকার কেরানীগঞ্জে কিশোরী গৃহকর্মীকে বেঁধে নির্যাতন, রূপনগরে তামান্নাকে ভবনের ৯তলা থেকে ফেলে হত্যা ইত্যাদি ঘটনা ঘটেই চলেছে।

ইয়াসমিন হত্যা দিবসকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন বন্ধে এবং নির্যাতকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আগামীকাল ২৪ আগস্ট ২০২৩ সুনীতি প্রকল্পের সহযোগীতায় এবং কর্মজীবী নারীর আয়োজনে বিকেল ৪টায় মিরপুর ১, সনি সিনেমা হলের সামনে মানববন্ধন এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।

এই মানববন্ধনে আপনার অংশগ্রহণ কামনা করছি এবং পত্রিকায় মানববন্ধনের খবর প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার এ ‍উদ্যোগ  গৃহকর্মীর উপর নির্যাতন এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে এবং গৃহকর্মীরা যেন সঠিক বিচার পায় তার পক্ষ সমর্থন করবে।
মানববন্ধ
সময়: বিকেল ৪টা
তারিখ: ২৪ আগস্ট ২০২৩
স্থান: মিরপুর ১, সনি সিনেমা হলের সামনে
ধন্যবাদ
ফারহানা আফরিন তিথি
প্রকল্প সমন্বয়ক
সুনীতি প্রকল্প
কর্মজীবী নারী

Pin It on Pinterest